আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): শুরুতে ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক হুজ্জাতুল ইসলাম মাওঃ শহীদুল হক পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন। এরপর দোয়া-এ-ইমামে জামানা (আ.ফা.) পাঠ শেষে মূল আলোচনা শুরু হয়।
সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন পাক্ষিক ফজর প্রকাশক ও আঞ্জুমান-এ-পাঞ্জাতানীর সাধারন সম্পাদক জনাব মোঃ ইকবাল। জনাব ইকবাল তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ইসলামী বিপ্লবের এ মহান রূপকার ও স্থপতি হযরত ইমাম খোমেনীর বিশাল ব্যক্তিত্ব নিয়ে কিছু বলা দুঃসাহস ছাড়া আর কিছু নয়। ইমাম খোমেনী একটি চেতনার নাম, সংগ্রামের নাম, সাহসের নাম, শক্তির নাম এবং আলোর দিশারীর নাম। আর এগুলোকে আমাদের ধারন করতে হবে তবেই তাঁর প্রচেষ্টা পূর্ণাঙ্গ সফলতায় পর্যবসিত হবে।
ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা আব্দুল লতিফ তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, হযরত ইমাম খোমেনী (রহ.) সারাজীবন মুসলিম উম্মাহকে বৃহত্তর ঐক্যের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গেছেন। তাঁর মত অসীম সাহসী নেতা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাজার হাজার বছরের রাজতন্ত্রকে উৎখাত করে যেভাবে ইসলামী বিপ্লব প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন তা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।
প্রধান বক্তা হিসেবে ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহীম খলীল রাজাভী হযরত ইমাম খোমেনী (রহ.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিপ্লবকে একটি অলৌকিক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইমাম খোমেনী (রহ.) বিপ্লব প্রতিষ্ঠায় পবিত্র নাজাফে বেলায়েতের ফকীহর ধারনা প্রচার শুরু করেন, তখন অনেকেই এর বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু তিনি দমে না গিয়ে বরং যুগের ইমামের (আ.ফা.) আগমনের পথকে সুগম করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন এবং তিনি এ চেতনা লাভ করেছিলেন কারবালায় ইমাম হোসাইন (আ.) এর পবিত্র শাহাদাত থেকে। ইমাম খোমেনী (রহ.) তাঁর জীবনের সর্বক্ষণ মজলুমের পাশে অবস্থান নিয়েছিলেন। এখানে তিনি মাযহাবগত পার্থক্য বিচার করেননি। তিনি বলেন, ইরানের ইসলামী বিপ্লব সত্যিকার অর্থে আমাদের যুগের ইমামের (আ.ফা.) আগমনের পথকে প্রশস্ত করেছে এবং সেদিন বেশী দূরে নয় যে, ইমাম খোমেনী (রহ.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিপ্লবের পতাকা বর্তমান রাহবার আয়াতুল্লাহ আল-উযমা সৈয়দ আলী খামেনায়ী ইমাম-এ-জামানা (আ.ফা.) এঁর পবিত্র হাতে তুলে দেবেন ইনশাআল্লাহ।#176

